খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে
ভারতীয় চাল আমদানিতে দাম কিছুটা কমেছে

সুখবর নেই ভোজ্য তেলে, বেড়েছে রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় চাল আমদানির পর খুচরা পর্যায়ে মূল্য কমতে শুরু করেছে। ভোজ্য তেলের বাজারে কোন সুখবর নেই। পেঁয়াজের বাজার দর ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকলেও বেড়েছে রসুনের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ে দু:চিন্তা যাচ্ছে না সাধরণ মানুষের।

খুচরা বাজারে মানভেদে মিনিকেট চাল প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ভারতীয় মিনিকেট ভালো মানের ৫২ টাকা, দেশী-২৮ বালাম ৪৮ টাকা, ভারতীয়-২৮ চাল ৪৫ টাকা, স্বর্ণা ৪২ টাকা, বালাম লোকাল ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাসমতি ও নাজিরশাল চালের মূল্য কমেনি। এটি পূর্বের দরেই যথাক্রমে সাড়ে ৬৭ টাকা ও ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুলনা বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী কুন্ডু টেড্রাসের মালিক জানান, বাজারে ভারতীয় চালের ছড়াছড়ি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে চার টাকা কমেছে। তবুও চালের বাজার এখন ক্রেতাশূণ্য। প্রতিদিন যেখানে চারশত বস্তা চাল বিক্রি করতেন, এখন সেখানে ৫০ বস্তা চাল বিক্রি করা দায় হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, নওয়াপড়ার বড় এক ব্যবসায়ী, যার কারণে এতো দিন চালের বাজারে আগুন লেগেছিল। তিনি এত ক্ষমতাধর যে মূল্য বৃদ্ধির জন্য দিনের পর দিন চালের ট্রাক আটকিয়ে রাখতেন। এখন পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি বেনাপোল থেকে ট্রাকে করে চাল আমদানি করছে। যার কারণে বাজার এখন নিম্নমুখী। তাছাড়া কিছুদিনের মধ্যে নতুন ধান উঠবে। সে ধানের চালের বাজার ক্রেতা সাধারণের হাতের নাগালে চলে আসবে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে ভোজ্যতেলের বাজরের উত্তাপ কিছুতেই কমছে না। বাজারে কোম্পানীভেদে পাঁচ লিটারের প্রতিটি বোতল ৬৩০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বেশী থাকার কারণে তেলের বাজার এতো চড়া রয়েছে। দাম কমে গেলে ভোজ্য তেলের বাজার সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। তবে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দামে এখন নিম্নমুখী।

খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে রসুনের দাম প্রতিকেজি মানভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে রসুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম বৃদ্ধির জন্য কিছু ব্যবসায়ী গুদামজাত করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বাজারে মশুর ডাল মানভেদে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত একমাস ধরে ডালের বাজার একই অবস্থায় রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!