তিন খেলোয়াড় ও কোচের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল সিলেট সিক্সার্সকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একাধিকবার মৌখিকভাবে জানানোর পরও বিপিএলের এ ফ্রাঞ্চাইজি পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি।
সোমবার ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলা এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক পেতে দেরি হয় কিংবা একেবারেই পান না। যে ৬টি টুর্নামেন্টকে চিহ্নিত করেছে ফিকা, সেখানে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর একমাত্র প্রতিষ্ঠিত লিগ বিপিএল।
মঙ্গলবার বিসিবি জানায়, ২০১৮ বিপিএলে ১৭০ দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফ কাজ করেছে। একটি নির্দিষ্ট ফ্রাঞ্চাইজি মাত্র চারজনের পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে। বিসিবির দাবি, ১৭০ জনের বিশাল বহর থেকে চারজনের পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করলেও, বকেয়া পারিশ্রমিক প্রদান করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। মঙ্গলবারই সিলেট সিক্সার্সকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। নিশ্চিত করেছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার মল্লিক। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে, তিনজন খেলোয়াড় ও কোচকে সিলেট সিক্সার্স ড্রাফটের বাইরে থেকে নিয়েছে। এজন্য বিসিবির অর্থ পরিশোধের সুযোগ নেই।
ইসমাইল হায়দার বলেছেন,‘আমরা ফ্রাঞ্চাইজিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া পারিশ্রমিক প্রদান করতে। আমাদের এখানে করার আছে সামান্যই। তাদের পারিশ্রমিক প্রদান করার সুযোগ আমাদের নেই। কারণ প্রত্যেককে ড্রাফটের বাইরে থেকে নেওয়া হয়েছে।’
তবে ফিকার প্রতিবেদন এবং খেলোয়াড়দের অভিযোগ আমলে নিয়েছে বিসিবি। তার ভাষ্যে,‘এটি বিসিবির জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং আমরা এটিকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। বিপিএল বিসিবির টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো-মন্দ যে কোনো কিছুর সঙ্গে বিসিবি যুক্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা সামনে বিষয়গুলোকে আরও ভালোভাবে দেখভাল করবো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর