খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২
  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

সিলেটে চাঞ্চল্যকর রায়হান হত্যা মামলা : এসআই আকবরসহ ৬ নাম চার্জশিটে

গেজেট ডেস্ক

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় এসআই আকবরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান জানান, পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তারা মামলাটি ভার্চুয়াল আদালতে উপস্থাপন করবেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এএসআই আশেকে এলাহি, হাসান উদ্দিন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস এবং সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে নগরীর কাষ্টগড় এলাকা থেকে তুলে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যা করা হয় রায়হানকে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে রায়হান মারা গেছেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

পরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ১২ অক্টোবর রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে এসআই আকবরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার ২৮ দিন পর গত বছরের ৯ নভেম্বর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান এখনও পলাতক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!