সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের কারকামিস জেলায় রকেট হামলায় দু’জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে চালানো হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যম বলছে, সোমবার সিরিয়া থেকে ছোড়া অন্তত পাঁচটি রকেট তুরস্কের কারকামিস জেলায় আঘাত হেনেছে। সেখানকার একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত দু’জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু বলেছে, রকেট হামলায় সিরিয়ার জারাব্লুস শহরের সাথে সংযোগকারী সীমান্ত এলাকার কাছে তুরস্কের কারকামিস জেলায় দু’টি বাড়ি এবং একটি ট্রাকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আনাদোলুর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, কারকামিসের একটি স্কুলের জানালা ভেঙে গেছে এবং একটি ট্রাকে আগুন জ্বলছে। এর আগে, রোববারও সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেট সীমান্ত ক্রসিংয়ে আঘাত হানলে তুরস্কের ছয় পুলিশ সদস্য এবং দুই সেনা আহত হন।
রোববার তুরস্কের বিমান বাহিনী সিরিয়ায় কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর কুর্দি যোদ্ধারা উত্তর সিরিয়া থেকে রকেটগুলো ছুড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
একই দিন উত্তর ইরাকেও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) অবস্থানেও বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, তুরস্কের রোববারের হামলায় সিরিয়ায় অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গত ১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়। এই হামলায় কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) জড়িত বলে দাবি করে তুরস্ক। সিরিয়ায় ওয়াইপিজিকে পিকেকের সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করে আঙ্কারা। তবে ইস্তাম্বুল হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিকেকে।