আগের ম্যাচটি জিতলেই ইতিহাস লেখা হতো বাংলাদেশের নামে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জোহানসবার্গে অপেক্ষা বাড়িয়েছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দলের। এবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেই ইতিহাস নিজেদের নামে লিখতে চায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের অলিখিত ফাইনালের লড়াইটা ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিয়ানে জন্যই বাড়তি রসদ পাচ্ছে সফরকারীরা।
এই সেঞ্চুরিয়ানেই সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৩১৩ রানের সংগ্রহ তুলে দাপুটে জয়ে স্বাগতিকদের হারায় ৩৮ রানের বড় ব্যবধান। এই জয়টি ঐতিহাসিক হওয়ার কারণ, এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের দেশে কোনো ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি ছিল না টাইগারদের। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। জোহানসবার্গে পরাজয় বরণ করতে হয়। ১-১ সমতায় থেকে সিরিজ ফয়সালার ম্যাচে আবার সেই সেঞ্চুরিয়ানেই ফিরছে দুই দল।
সিরিজ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলছিলেন, ‘আমরা এখনও লড়াইয়ের ভেতরে আছি। আমরা একটা জিতেছি, ওরা একটা জিতেছে। সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে। চেষ্টা করব ভালো ক্রিকেট খেলার। সবাই ভালো ক্রিকেট খেললে আমরা ম্যাচ জিততে পারি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশের এই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ (বুধবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। এই ম্যাচটি জিততে পারলে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিয়ানে ইতিহাস লিখবে বাংলাদেশ দল। সঙ্গে উইন্ডিজের পর তুলনামূলক বড় কোনো দলের বিপক্ষে তাদের দেশে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
মিরাজ বলেন, ‘দেশের বাইরে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া এরকম কন্ডিশনে সিরিজ জেতা হয়নি। এখানে জিততে পারলে দলের অবস্থান আরও উপরে যাবে, বড় দল আমাদের নিয়ে চিন্তা করবে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব। ফলাফল তো হাতে নেই। এখনই ফল নিয়ে ভাবলে কঠিন হয়ে যাবে। ম্যাচ জিততেই হবে এরকম না। নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী যেন খেলতে পারি।’
গত ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিভাগের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন প্রতিপক্ষ দলের কাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিদি। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তছনছ করে দেন টপ অর্ডার। দুই পেসার ফেরান তামিম, সাকিব, লিটনকে। অধিনায়ক তামিন তাই জোর দিয়েছেন ম্যাচের শুরু দুই ওভারকে।
তামিম বলেছেন, ‘ওদের দুই বোলারই বিশ্বমানের। আমাদের ওদের ভালো খেলতে হবে, যেমনটা আমরা প্রথম ম্যাচে করেছি। পরে আমরা রান করতে পারব। মাঝের ওভারে ওদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করতে পারব। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে আমরা কেমন করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ম্যাচটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ। জিতলে আরো ১০ পয়েন্ট যোগ হবে বাংলাদেশের নামের পাশে। এতে ব্যবধান বাড়বে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এসব সমীকরণ মেলাতে আগে জিততে হবে টাইগারদের। সেই জয়ের লক্ষ্যে এ ম্যাচে একাদশে পরিবর্তনের তেমন সম্ভাবনা নেই। আগের দুই ম্যচের একাদশ নিতে মাঠের নামার কথা আছে সফরকারী শিবিরের।
এক নজরে বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি রাব্বি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।