ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গত বুধবার রাফার তেল সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। যে সেনারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে তারা প্রথমে জানতে পারেনি তাদের হামলায় হামাস প্রধান নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলিরা জানিয়েছে, হাতে গুলি লাগার পর সিনওয়ার একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর সেই ভবনে ট্যাংক হামলা চালানো হয়। এতে প্রাণ হারান তিনি।
এরপর ইসরায়েলি সেনারা সেই ভবনে গিয়ে সিনওয়ারের মতো দেখতে এক ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পায়। তখন পরিচয় শনাক্ত করতে প্রথমে মরদেহটি থেকে একটি আঙুল কেটে সেটি ইসরায়েলে পাঠানো হয়। এরপর পাঠানো হয় পুরো মরদেহ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায় মরদেহটি সিনওয়ারেরই।
হিব্রু সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পরীক্ষা শেষে সিনওয়ারের মরদেহ গোপন স্থানে লুকিয়ে ফেলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন মরদেহটি গোপন জায়গাতেই আছে।
এর আগে আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মাথায় গুলি লেগে এবং গোলার আঘাতে সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারে কাছে এসব জিনিস পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সিনওয়ারের মরদেহের ওপর আরও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুর সময় তার রক্তে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপাদান বা মাদক ছিল কিনা। এসব পরীক্ষার ফলাফলের জন্য এখন তারা অপেক্ষা করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
খুলনা গেজেট/এএজে