ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসায় সালিসের পর নবীন মাতুব্বর (১৫) নামে এক কিশোরকে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত নবীন মাতুব্বর দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, কালামৃধা গ্রামে জমি নিয়ে বাবলু মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মীমাংসায় শনিবার সকাল ১০টায় সালিশ বৈঠক বসে। সালিসে ওই ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের সাত-আটজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সালিস বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ায় বৈঠকটি অমীমাংসিতভাবে শেষ করা হয়। সালিসের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয় আগামী শনিবার (১২ নভেম্বর)।
নবীনের বাবা ফারুক মাতুব্বর বাবুল মাতব্বরের চাচাতো ভাই। সালিসের কিছুক্ষণ পর একটি গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় নবীনকে প্রতিপক্ষের একজন ছুরি দিয়ে গলায় পোচ দেয়। এতে নবীন গুরুতর আহত হয়।
এলাকাবাসী নবীনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যায় নবীন।
এ ঘটনার পর এলাকার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।