খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারির দাখিলের নির্দেশ

গেজেট ডেস্ক

সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর ‘দখলে থাকা’ গুলশানের বাড়ি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছে হাই কোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদাত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এদিন মামলাটি কার্যতালিকায় এলে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় আরও সময় চান দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। পরে আদালত নতুন করে সময় ঠিক করে দেয়।

বুধবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

এদিন তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় দুদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিট আবেদনকারী হবিগঞ্জ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সুমন।

শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একজন এমপি হয়ে আরেকজন এমপির বিরুদ্ধে লড়ছি। উনিও সংসদে শপথ নিয়েছেন আমিও নিয়েছি। আমরা শপথ নিয়েছি যে ব্যক্তি স্বার্থকে বড় করে দেখব না। আপনারা জানেন, উনি (সালাম মুর্শেদী) যে বাড়িতে থাকেন সেটি সরকারের জমি। দুদক এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করলেও আদালতে দাখিল করছে না।

“এর আগের শুনানিতে প্রতিবেদন দাখিল না করলে আদালত অবমাননার শামিল বলার পরও দুদক প্রতিবেদন দাখিল করেনি।”

২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট আবেদনের পরদিন সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।

সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), গণপূর্ত বিভাগ ও মুর্শেদীকে নির্দেশ দেয় আদালত।

এ বাড়ি সংক্রান্ত নথি ও প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাই কোর্টে দাখিল করা হয়।

এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। পরিত্যক্ত ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!