খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার বড় বাজারের পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস
  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন

সারা বছরই টিকাদান কার্যক্রম চলবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

গেজেট ডেস্ক

দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে মহাখালীতে স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত যারা করোনার টিকা নিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। সারা বছরই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আজ রোববার শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। এক হাজার ১৫টি কেন্দ্রে সকাল থেকে টানা দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে টিকাদান।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে করোনার টিকা নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাসহ তিন বিচারপতি। টিকা নেওয়া অন্য দুই বিচারপতি হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আজ সকাল ৯টার দিকে টিকা নেন তাঁরা।

এদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশে এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই হাজার ৪০০টি টিম। এ ছাড়া টিকা নিতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তিন লাখ ২৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।

কোভিড-১৯ মহামারিতে গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা জগতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সের টিকা গ্রহণের পর ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পেশার মোট ৫৬৭ জন ফ্রন্টলাইনারকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখতে ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত টিকাদান বন্ধ রাখা হয়।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকা গ্রহণের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার বাইরে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা হয়নি। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি নিবন্ধনকারীদের এসএমএসের মাধ্যমে টিকার কেন্দ্র ও সময় জানানো হয়েছে। এ ছাড়া টিকা কার্যক্রম শুরুর পর সাধারণ মানুষ চাইলে, টিকাদান কেন্দ্রে এসেও অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রাথমিকভাবে ১৮ বছরের কম বয়সী এবং গর্ভবতী নারীসহ কিছু মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে না। টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের পরবর্তী ২৮ দিন অর্থাৎ চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!