সারা দেশে গত ২০ বছরে কারা ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদন আকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে ছয় মাসের মধ্যে এ তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। শনিবার আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
৬ ফেব্রুয়ারি ‘চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির অস্বাভাবিক মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবার’র শিরোনামে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া একই দিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সনে ‘চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবার’র শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
১৯ এপ্রিল আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের কৃষক রুবেল দে’র মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্তের পদক্ষেপ এবং তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আইনি নোটিশ পাঠান। মে মাসে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ওই দুটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
রিটের শুনানি শেষে আদালত রুলও জারি করেন। রুলে হেফাজতে রুবেল দে’র মৃত্যুর অভিযোগ বিচারিক অনুসন্ধানে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারিক অনুসন্ধান করতে ও তার পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
খুলনা গেজেট/কেডি