প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ। সবাই একযোগে কাজ করলে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ অচিরেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারব- এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’’
আজ সোমবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন, জনগণ ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা এবং শান্তির পরিবেশ ধরে রাখা আপনাদের পবিত্র শপথ ও দায়িত্ব। আপনারা স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আমরা প্রবেশ করেছি। এ সবই আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে সম্ভব হয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এর বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হব- ইনশাআল্লাহ। আমাদের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।’
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুরুষ ও নারী সমতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ বছর
বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আনসার বাহিনী এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নারী আনসার ব্যাটালিয়ন
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নারী ব্যাটালিয়ন। আনসারের দু’টি নারী ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থায় দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধির জন্য আরও একটি নারী ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম