সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিশেষ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশি এই রাজনীতিবিদের বিশাল সাম্রাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।
ব্লুমবার্গের এই প্রতিবেদনের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও উঠেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের সম্পর্কে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে অবগত।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বিফ্রিংয়ে এক সাংবাদিক তাঁর প্রশ্নে বলেন, ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর লোকজনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’। সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ আছে। এই সম্পদের মূল্য ২০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং। এই অর্থ দেশটির বৈদেশিক রিজার্ভের ১ শতাংশের সমান। এটা অনেকগুলো ঘটনার একটি। বাংলাদেশ সরকারকে জবাবদিহি করতে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, তাঁরা এই প্রতিবেদনের বিষয়ে অবগত। নির্বাচিত সব কর্মকর্তা যাতে দেশটির আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ