সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিক্ষুব্ধ জনতা কুপিয়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেনকে হত্যা করেছে। এর আগে জাকির হোসেনের ছোড়া গুলিতে দুইজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল পৌনে পাঁচটা থেকে রাত পৌনে ৮টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ জাকির হোসেন (৫৩) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নাকনা গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে। জাকির হোসেন আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের দুই বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অপর দুইজন হলেন, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ওয়ারেজ আলী মোড়লের ছেলে হাফেজ আনাজ বিল্লাহ (২১) ও একই ইউনিয়নের নাকনা গ্রামের নুর হাকিম ঘোরামীর ছেলে আদম আলী। আহতদের মধ্যে প্রতাপনগর গ্রামের ছাত্তার সরদারের ছেলে আলমগীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী বলেন, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কয়েকশ’ লোক মিছিল নিয়ে নাকনা গ্রামের জাকির চেয়াম্যানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাড়িতে ইট পাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায় বিক্ষুদ্ধ জনতা জাকির চেয়ারম্যানের বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি (জাকির)বাড়ির দোতালা থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০/১২ জন আহত হয়। এসময় ক্ষুদ্ধ জনতা তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।
এদিকে আহতদের চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে হাফেজ আনহাজ বিল্লাহ ও আদম আলী মারা যায়। পরে তাদের মরদেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনলে বিক্ষুদ্ধ জনতা জাকিরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায় রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা জাকিরের বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে মেরে ফেলে।
নাকনা গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, জাকিরের সাথে থাকা তার তিন সহযোগি নাকনা গ্রামের মৃত শেখ সুজাত আলীর ছেলে শেখ জাহাঙ্গির, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন আলম ও আজুয়ারের ছেলে সজিবসহ আরো চারজন বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসব মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এবিষয় জানার জন্য আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিত অধিকারির মোবাইলে কয়েকর রিং করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।