খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ

সাতক্ষীরায় ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ, সর্বশান্ত মৎস্য চাষী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় পূর্বশত্রুতার জেরে ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মৎস্যচাষীর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। সোমবার(১৩ জুন) ভোর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের শুল্কীর বিলে এই ঘটনা ঘটে। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ওই মৎস্য চাষী আলী হোসেনের ।

স্থানীয় বাসিন্দা আলিম, রশিদ, জাহিদ, মোস্তাফিজুর বলেন, সদর উপজেলার কৈখালি গ্রামের আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলাম এর সাথে একই এলাকার আলী হোসেনের জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ কারণে তারা রাতের আঁধারে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

লাবসা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ঘের মালিক আলি হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার ছেলে জুলফিকার আলী আত্মীয়ের বাড়ি থাকার কারনে ঘের পাহারা দেয়ার জন্য একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মুক্তাদির হোসেন রাতে ঘেরের বাসায় অবস্থান করে। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে মুক্তাদির আমার কাছে মোবাইল করে বলে যে, মৎস্য ঘেরের মাছ পুকুরে লাফালাফি করছে। সংবাদ পেয়েই আমি ও আমার বউমা মুক্তি সুলতানা বাড়ি থেকে মৎস্য ঘেরের দিকে রওনা হই। মৎস্য ঘেরের বাঁধের উপর পৌঁছালে আমরা আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলামসহ ২/৩ জনকে ঘেরের বাঁধ থেকে দ্রুত নেমে যেতে দেখি। আমার ধারণা তারাই আমাদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরা থানার এএসআই রওশন আলী সরকার বলেন, মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘেরে বিষ প্রয়োগের ফলে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। যে বা যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিত অধিকারী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/ আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!