করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দী থাকা মানুষের জন্য জাতীয় শর্টকোড নম্বর ৩৩৩ এ কল করে সরকারি খাদ্য সাহায্য এবং ত্রাণ সহায়তা নেওয়ার সুযোগ চালু করেছে সরকার। এ সহায়তার আওতায় সাতক্ষীরা জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৪ টাকা। গত ১৫ জুলাই এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে জেলায় এ পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এক হাজার ৯৭ জন অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তিকে। এ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ এর চলমান সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য শুধুমাত্র ৩৩৩ ফোন নম্বরে অনুরোধকারীদের খাদ্য সহায়তা প্রদানে জন্য এক কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৪ টাকা জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ জুলাই এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সেবার আওতায় জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৭ জন অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৬০ জন, তালা উপজেলায় ৫০ জন, দেবহাটটা উপজেলায় ৪৩০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ১২০ জন, আশাশুনি ২২ জন, শ্যামনগর ৬৫ জন এবং কালিগঞ্জ ১৫০ জন রয়েছে।
জানা যায়, ৩৩৩ কল করলে সেন্ট্রাল থেকে নাম এন্ট্রির করার পর উপজেলায় মেসেজ দেয়। তারপর সেটি যাচাই করে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে, ৩৩৩ নাম্বারে কল করলে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকার কারণে সঠিকভাবে সহায়তা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিমের বলেন, তিনি অনেককেই এ সেবা গ্রহণের জন্য বলেছেন। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অনেকেই এ সেবা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এ সেবা যাদের দরকার তারা অধিকাংশই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের জন্য ৩৩৩ তে কল করে খাদ্য সহায়তা নেওয়া খুবই কষ্টকর বিষয়। তাই এই সেবা আরও সহজলভ্য করে প্রকৃত প্রাপ্যদের খুজে বের করে সহায়তা পৌছে দেওয়া উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত দরিদ্র অসহায় মানুষ যাতে এ সেবা পেতে পারে তার জন্য স্থানীয় সুশীল সমাজের সাহায্যে নেওয়া যেতে পারে। বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার মাধ্যমে প্রকৃত দুস্থদের মাঝে যাতে বিতরণ করা হয় সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারি করার জন্য নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আহবান করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ৩৩৩ কলে সরকারি খাদ্য সাহায্য এবং ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার সুযোগ আগে থেকে চালু ছিলো। তবে এখাতে বিশেষ কোন বরাদ্দ ছিলো না। তাই অন্যান্য প্রণোদনা থেকে ৩৩৩ কলের সহায়তা দেওয়া হতো। এই প্রথম এ খাতে বরাদ্দ পেলাম। এখন থেকে এ সহায়তা আরও বেশি বেশি দিতে পারবো।
খুলনা গেজেট/এনএম