সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর অগের দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ জন। এদিন ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে সদর হাসপাতালে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) ভোর রাত ৩টা, ভোর রাত সাড়ে ৪টা ও বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সদর হাসপাতালে তারা মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মকুন্দপুর গ্রামের ইমরান মোড়লের স্ত্রী আয়শা খাতুন (৩৬), শ্যামনগর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সাহিদা খাতুন(৩৫) ও আশাশুনি উপজেলার পাইতলী গ্রামের মৃত অমল চন্দ্র দে’র ছেলে আশুতোষ দে(৫৭)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউ’তে ভর্তি হন আয়শা খাতুন। পরে নমুনা পরীক্ষা করে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্যামনগরের রঘুনাথপুর গ্রামের সাহিদা খাতুন ৩ জুন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে দিকে তিনি মারা যান।
অপরদিকে করোনা অক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মে আশাশুনির পাইতলী গ্রামের আশুতোষ দে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন। কিছুটা সুস্থ্য হলে ২জুন হাসপাতাল থেকে তিনি বাড়ি চলে যান। কিন্তু শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে ফের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছিট খালী না থাকায় তাকে সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়। বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে সদর হাসপাতালের নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এনিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত মারা গেছে ৫০ জন আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন প্রায় ২১২ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসেন সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত দুই নারীসহ ওই তিনজনের লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই