সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামে কৃষক মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসকে (৬৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তার জামাতা আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবুল কালাম আজাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নিহতের বাড়ির ৫০০ গজ দূরের একটি পুকুর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। একই সাথে হত্যাকান্ডের সময় হত্যাকারীর শরীরে পরিহিত জ্যাকেট ও কাদামাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম আজাদ (৪০) কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মৃত রওশন আলী খার ছেলে ও দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। কালাম নিহত মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট জামাতা। নিহত কৃষক মোসলেমউদ্দীন (৬৫) দেয়াড়া গ্রামের মৃত. নঈমুদ্দীনের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিন জানান, হত্যাকান্ডের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় নিহত মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে।
তিনি বলেন, তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের বাড়ির ৫০০ গজ দূরের একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে তার ভাতিজার ঘর থেকে হত্যাকান্ডের সময় তার গায়ে থাকা জ্যাকেট ও কাদামাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
কলারোয়া থানার ওসি তদন্ত হারান চন্দ্র জানান, বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদকে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কৃষক মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসকে গলাকেটে হত্যা করে গায়ে কথা জড়িয়ে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে যায় হত্যাকারি। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন