সাতক্ষীরায় ঈদের তৃতীয় দিনও সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল মুখরিত। শিশু থেকে বৃদ্ধ- সববয়সের মানুষের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত ছিল না।
সাতক্ষীরা শহরের বাকাল ডিসি ইকো পার্ক ও সংলগ্ন এলাকা, লেকভিউ, মোজাফফর গার্ডেন এবং সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক ছিল লোকে লোকারণ্য। ঠিক একইভাবে শ্যামনগরের আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র, আশাশুনির মানিকখালী ব্রিজ সংলগ্ন চাপড়া কেওড়া পার্ক সহ জেলার ছোট বড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ছিল উপচেপড়া ভীড়।
করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে ঈদ পালনের পর এবার ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে ছিল বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা। তবে, ঈদের দিন বৃষ্টিসহ দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় মানুষ বেশ চিন্তিত ছিল। যদিও ঈদের দিন দুপুরের পর আর বৃষ্টি হয়নি। তবে, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেননি সিদ্ধান্তহীনতার কারণে। তাই ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে বা প্রিয় জনের সান্নিধ্য পেতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন সববয়সের মানুষ। এতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিনোদন কেন্দ্রসহ ছোট বড় রেস্টুরেন্টগুলো।
ফশ্রুতিতে সাতক্ষীরা শহরের বাকাল ডিসি ইকো পার্ক ও সংলগ্ন এলাকা, লেকভিউ, মোজাফফর গার্ডেন এবং সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে ব্যাপক যানজট বাধতে দেখা যায়। এ বিষয়ে পূর্ব থেকে সতর্ক থাকলেও যানজট সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে জেলা ট্রাফিক পুলিশকে।
বাকালে ঘুরতে আসা রাসেল মাহমুদ সোহাগ জানান, গত দুবছর করোনার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি। তাই এবছর প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে মানুষ বা পরিবার পরিজনকে নিয়ে ঘুরতে মানুষ এক প্রকার হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আরও দু’একদিন এই চাপ থাকতে পারে।