স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ পালনের বছরেও সাতক্ষীরায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহ গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারীভাবে সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও সাতক্ষীরায় শহীদের তালিকায় বিতর্কিত নাম থাকায় সে স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করা হয়নি।
প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস আসলে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বপক্ষের লোকজন এনিয়ে কথা বলা ও পত্রপত্রিকায় কিছু লেখালেখি হলেও দিবস দুটি চলে যাওয়ার পর এ সম্পর্কিত আর কোন তৎপরতা দেখা যায় না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয় না। তাই এবার সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগ্রাম কমিটি প্রশাসন ও রাজনীতিবীদদের কাছে ‘ধর্ণা’ দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে নিয়মিত ধর্ণা দিবে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বপক্ষের লোকজন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে এক ঘন্টা দাড়িয়ে অবস্থান করেন সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাক্ষাৎ পান। এ সময় সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয় জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয় এবং আগামী ২৫ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী দিনেশ কর্মকারের আদি ভিটায় অবস্থিত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
একই সাথে সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শহীদদের নাম নিয়ে জটিলতা নিরসণেরও দাবী জানানো হয়। জেলা প্রশাসক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন এবং আগামী স্বাধীনতা দিবসের পূর্বেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।
সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার ও সদস্য সচিব এড. ফাহিমুল হক কিসলুর নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. ইউনুস আলী, সাবেক পিপি এড. ওসমান গনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই