সাতক্ষীরায় প্রতারণার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১২মার্চ) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক চক্রের মূল হোতা হল শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা গ্রামের গোলাম হোসেন সরদারের ছেলে এবাদুল সরদার।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ এবাদুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে নগদ ১৪ হাজার টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা এলাকার ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু ও মোঃ আবুল কাসেমদ্বয়ের সাথে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ এবাদুল সরদারের পূর্ব থেকে পরিচয় ছিল।
প্রতারক এবাদুল ভুক্তভোগীদের জানায়, তার নিকট টাকা দিলে সে দ্বিগুণ করে ফেরত দিতে পারে। প্রতারক এবাদুল তার সহযোগীদের নিয়ে প্রতারণামূলক ভাবে সুকৌশলে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে টাকা বানিয়ে দ্বিগুণ করে দেখিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে।
একপর্যায়ে প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের নিকট থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকচক্র আজকাল বলে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিবেনা বলে জানায় এবং প্রাণণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু র্যাব-৬ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত প্রতারকচক্রকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে রোববার তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু বাদী হয়ে র্যাবের সহায়তায় শ্যামনগর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড