খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
  বুধবার থেকে ডিমের নতুন দাম কার্যকর হবে : ভোক্তা ডিজি
  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা
  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ; পাশের হার ৭৭.৭৮

সাতক্ষীরায় পৌরসভা কর্তৃক প্রতিবন্ধী’র ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক প্রতিবন্ধী’র ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্ত¡রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন, শহরের কামালনগর এলাকার মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে শারিরীক প্রতিবন্ধি মোঃ বায়েজীদ হাসান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জন্মগত ভাবে শারিরীক প্রতিবন্ধী। যার সমাজসেবা পরিচয়পত্র নং-১৯৭৮৮৭২৮২০৮১৬০৪১৯-০২। ২০০৫ সালে খুলনা বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্সসহ বাংলায় এমএ পাশ করার পর কোন সরকারি বা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না পেয়ে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য ২০১৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ জলিল এঁর কাছে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত স্থানে বতর্মান পেট্রো বাংলা’র চেয়ারম্যান ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ জলিল ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে উক্ত স্থানে তাকে একটি ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তখন থেকে ওই জায়গায় ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা’র উপার্জিত অর্থ দিয়ে মা-ভাই, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

শারিরীক প্রতিবন্ধি মোঃ বায়েজীদ হাসান বলেন, করোনা মহামারী আমার সেই অর্থ উর্পাজনের পথটি রুদ্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে নিজের আয়ের পথকে সুদৃঢ় করতে আবারও সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে একটি ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার চেষ্টা করি। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উক্ত স্থানে একটি বাশেঁর খুটি স্থাপন (পুতি) নাই। তবে নিউ মার্কেট এলাকার মহাসড়কে প্রচুর ধূলাবালির স্তূপে বাতাসের তীব্র বেগ ও বৃষ্টির কারণে আমার অর্থ উর্পাজনের একমাত্র অবলম্বন কম্পিউটার ও প্রিন্টারগুলো নষ্ট হয় পরে ঋণ নিয়ে আবারও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকি। ফলশ্রæতিতে আমি ওই জায়গায় একটি ভ্রাম্যমাণ চাকা যুক্ত টল যা প্রয়োজনে স্থানান্তর করার স্বার্থে নির্মাণ করার চেষ্টা করি। টলটি গত ৫ ডিসেম্বর উক্ত স্থানে বসিয়েছিলাম। কিন্তু ৬ ডিসেম্বর সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের একটি মৌখিক নির্দেশনায় পৌর কর্মচারীরা সেই টলটি সরিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই আমার আয়ের উপর নির্ভরশীল। অথচ এখন আমার আয়ের পথটি বন্ধ। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও চরম অর্থ কষ্টে ভুগছি। আমি একজন প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে যে সংগ্রাম করছি তাতে সহায়তা না করে আমাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জায়গা দখলের মানসিকতা নিয়ে নয়, ওই স্থানে একটি টল বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করে যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!