সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক ও এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ৮ টার দিকে পাটকেলঘাটা থানাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক পাটকেলঘাটা বলফিল্ড এলাকায় ঢাকাগামী রোহিনা পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ও বুধবার রাতে শ্যামনগর উপজেলাধীন শ্যামনগর-কালিগঞ্জ মহাসড়কের গোলাঘাটা এঘটনা মটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়।
নিহত স্কুল শিক্ষকের নাম সুভাষ কর্মকার (৭৫)। তিনি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খলিশখালী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি খলিষখালী শৈব বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।
অপরদিকে নিহত কলেজ ছাত্রের নাম শেখ সৈকত হোসেন (১৯)। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট অনন্তপুর গ্রামের শেখ নজরুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় শিমু রেজা এম.পি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সুভাষ কর্মকার সকাল ৮ টার দিকে পাটকেলঘাটা থানাধীন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক পাটকেলঘাটা বলফিল্ড এলাকায় হেটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী রোজিনা পরিবহনের একটি গাড়ী তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পাটকেলঘাটা পপুলার ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক পবিবহনটি আটকাতে পারলেও চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে ঈদের দিন বুধবার রাতে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে শ্যামনগর উপজেলাধীন শ্যামনগর-কালিগঞ্জ মহাসড়কের গোলাঘাটা নামক স্থানে অন্য একটি মটর সাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিজের গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায় সৈকত। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। নিহত সৈকত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট অনন্তপুর গ্রামের শেখ নজরুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় শিমু রেজা এম.পি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি