সাতীরায় পরিবহনের ধাক্কায় পলাশ বিশ্বাস (২৫) নামের এক ঔষধ কোম্পানীর পরিবেশক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো একজন ব্যবসায়ি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক পরিবহনসহ এর চালককে আটক করেছে।
নিহত পলাশ বিশ্বাস শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের কৃষ্ণপদ শীলের ছেলে। আহতের নাম এজাজ আহম্মেদ খাঁন। তার বাড়ি সাতক্ষীরা শহরতলীর লাবসা গ্রামে।
নিহতের স্ত্রী মিতালী বিশ্বাস জানান, তার স্বামী পলাশ বিশ্বাস রেডিসন কোমম্পানীর সাতক্ষীরা শাখার ঔষধ পরিবেশক। বর্তমানে তারা শহরের কাটিয়া ধোপাপুকুরের একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার স্বামী এজাজ আহম্মেদ খান নামের এক ব্যবায়িকে নিয়ে বাসা থেকে নারিকেলতলা মেইন সড়কে উঠলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামনগর গামী ডলফিন পরিবহন (বরিশাল মেট্রো-ব-১১০১৪৮) তাদের মোটর সাইকেলে (সাতক্ষীরা-হ- ১৬৫৭৪২) সজোরে ধাক্কা মারে। এ সময় এজাজ আহম্মেদ খান ও তার স্বামী পলাশ মটর সাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। বাসের পিছনের চাকায় তার স্বামীকে টানতে টানতে ৪০০ ফুট দূরে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে নিয়ে যায়। দ্রæতবেগে চলে যাওয়ার সময় একটি মোটরচালিত ভ্যানে ধাক্কা দিলে ভ্য্নাটিও দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই পরিবহন ও চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। গুরুতর আহ অবস্থায় পলাশ ও এজাজকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দেড়টার দিকে পলাশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এজাজ আহম্মেদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বুধবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পপরিদর্শক ইমামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ সৎকারের অনুমতি চেয়ে নিহতের ভগ্নিপতি ভবতোষ মন্ডল বুধবার দুপুরে সদর থানায় একটি আবেদন করেছেন। তিনি আরো জানান, ঘাতক পরিবহন ও তার চালক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই