সাতক্ষীরা শহর ও পাশ্ববর্তী এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর করতে জেলা নাগরিক কমিটি ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে। রবিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের কাছে এই প্রস্তবনা পেশ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, সদস্য শেখ বায়দুস সুলতান বাবলু, মাধব চন্দ্র দত্ত, অপারেশ পাল, জিএম মনির“জ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠকে ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১, ২, ৬-৮, ৬-৮ (এক্সটেনশন)-এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বেতনা ও মরি”চাপ নদীর ৮১ কি.মি. পুনঃখনন ও ড্রেজিং এবং ৮২টি খালে ৩৪৪.২২ কি.মি. সংস্কার ও পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া এই প্রল্পের আওতায় ২৭টি রেগুলেটর ও স্লুইস গেট মেরামত, পুণর্গঠন, পুনরাকৃতিকরণ, ১১৩.১২ কি.মি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার, বেতনা নদীর ডান তীরের ১.৭০ কিমি ঢাল পরীক্ষামুলক কাজ এবং ৪টি আরসিসি ঘাটলা নির্মাণ করা হবে।
জেলা নাগরিক কমিটির প্রস্তাবনার ভূমিকায় বলা হয়েছে, গৃহীত উক্ত প্রকল্পের অধিকাংশ কাজই গত ১০ বছরের মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, কর্মসৃজন কর্মসুচি প্রকল্প, ব্লুগোল্ড বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। বরং পরিস্থিতি পূর্বের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে ৩/৪ শ’ ফুট চওড়া বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মাঝ বরাবর ৫০/৬০ ফুট খাল খনন করে নদী ভরাট করার কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
নাগরিক কমিটি এই পরিস্থিতি নিরসনের জন্য সাতক্ষীরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত উজানের সাথে সম্পর্কযুক্ত একমাত্র প্রবাহমান নদী ইছামতির শাখা সাপমারা ও লাবন্যবতীর স্লুইস গেট অপসারণ করে মরিচ্চাপ-খোলপেটুয়া ও অন্যান্য নদী খালের জোয়ার ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ পুনুর“জ্জীবিত করাসহ ১৩ দফা সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন