সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫২ জন।
করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের মৃত সুজাউদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম (৫০) ও তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মৃত হাশেম আলী বিশ্বাসের ছেলে শহর আলী বিশ্বাস।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ আগষ্ট তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর রোববার রাত সোয়া ৮টা ও রাত ১০টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর সোববার পর্যন্ত মোট ৮৫ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ২ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৮৩ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৪ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ২১৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই জন। এ সময় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১২৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৭ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭০২ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ২৫ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫৩২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫২২ জন। জেলায় ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৫২ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৪ হাজার ৯৩০ জন এস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৮৮৮ জন। এদিকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৮ হাজার ৫৫৯ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম