মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টার ব্যবধানে করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে তিন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের ফ্লু কর্ণার ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ মার্চ) ভোর রাতে পৃথক সময়ে ও সকাল ৮টার দিকে তারা তিন জন মারা যান।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে শেখ নজরুল ইসলাম (৬৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে মোঃ শফিউল্লাহ (৭০) ও তালা উপজেলার বারাত গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে গোলাম হোসেন(৬০)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ¦র, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ মার্চ কলারোয়ার মির্জাপুর গ্রামের বৃদ্ধ শেখ নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত ১০ মার্চ কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বৃদ্ধ মোঃ শফিউল্লাহ সামেক হাসপাতালে ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে হাসপতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
অপর দিকে , জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাাতলের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন তালার বারাত গ্রামের গোলাম হোসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য আগেই খুমেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদরে রির্পোট আসেনি। এদিকে এনিয়ে, জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ২০ মার্চ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ১৫৩ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩২ জন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই তিন বৃদ্ধের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই