সাতক্ষীরায় মাত্র ১৫ ঘন্টার ব্যবধানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে এক যুবতীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকালে ও রবিবার সকালে সামেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ও আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ নিয়ে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় করনো উপসর্গে মারা গেছেন অন্ততঃ ৮২ জন নারী-পুরুষ।
করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের পলাশ হোসেনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২০), কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দিনের ছেলে নিছার উদ্দিন (৬৫) ও একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আহাদুলাহ’র ছেলে জামাত আলী (৭০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৮ আগষ্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ভর্তি হয় তানিয়া খাতুন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন ২৯ আগষ্ট শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
একইভাবে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিমোনিয়া নিয়ে গত ২৩ আগষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ভর্তি হন কালিগঞ্জের মৌতলা গ্রামের নিছার উদ্দিন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৩০ আগষ্ট) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২০ আগষ্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কালিগঞ্জের গোবিন্দকাটি গ্রামের জামাত আলী। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় দু’দিন আগে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৩০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
ডাঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, নিছার উদ্দিন ও জামাত আলীর নমুনা সংগ্রহ করে আগেই খুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের রির্পোট এখনো আসেনি। শনিবার বিকালে মারা যাওয়া যুবতী তানিয়া খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে মৃতের বাড়ি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেছেন অন্ততঃ ৮২ জন নারী-পুরুষ। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৯ জন।
খুলনা গেজেট/এমএম