সাতক্ষীরায় বেড়েছে সংক্রমনের হার, কমেছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৮২০ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত ফকির আহম্মদ এর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৯০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে আব্দুস সাত্তার গত ৩১ জানুয়ারি সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৩৪ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময় র্যাপিড এন্টিজেন কীট ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ। এর আগেরদিন শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মোট ৪২ জন রোগী । এর মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজেটিভ ও বাকি ২৯ জন সন্দেহজনক (সাসপেক্টেড)। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৪ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৮০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৫৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ। জেলায় গড় সংক্রমনের হার ২১ দশমিক ০৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৬৩ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ১০০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৪২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫৭২ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৫৯ জন। জেলায় প্রথম থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৮২০ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৬৩ জন। এদিকে সেনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৯২৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৭৩ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৬ হাজার ৪৩৮ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৯৩ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩৯ হাজার ৫৭৬ জন। এছাড়া এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩০ হাজার ৪২৪ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।
তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এপর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫৭ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৫০ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৩০ হাজার ৫১৫ জনকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই