সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক যুবলীগ নেতা ও উপসর্গে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টা ও বুধবার বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিংসাধীন অবস্থায় তারা দু’জন মারা যান।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা জাহাপুর গ্রামের মেম্বর আবুল কাশেমের ছেলে বদরুজ্জামান ওরফে কান্ত (৪২)। তিনি দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া করোন উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের লাল বিহারীর ঘোষের ছেলে শংকর কুমার ঘোষ(৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, করোনা সনাক্ত হওয়ার পর বদরুজ্জামান গত ২৫ আগষ্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার বাড়ি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এনিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলায় ২৫ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে শংকর কুমার ঘোষ (৬৩) নামে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মানস কুমার মন্ডল জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১১ আগস্ট সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন শংকর কুমার ঘোষ। অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ আগস্ট বুধবার বেলা ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ইতিমধ্যে উক্ত মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মৃতের বাড়ি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এনিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ১২জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
খুলনা গেজেট / এমএম