সাতক্ষীরায় আইনশৃখংলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় চলমান কঠোর লকডাউনে যতই দিন পার হচ্ছে ততই সড়ক ও হাট বাজার গুলোতে বাড়ছে জনসমাগম। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। আংশিক খোলা রেখে বেচাকেনা করা হচ্ছে শহরের অধিকাংশ দোকান পাটে।
শনিবার শহর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কঠোর লকডাউনে সড়কে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ছোট ছোট যান চলাচল। অবাধে চলাচল করছে মটরসাইকেল, ভ্যান-রিক্সা ও ইজিবাইক। চলাচল করছে ব্যক্তি মালিকানার প্রাইভেট গাড়ি। এক সার্টার খোলা রেখে বেচাকেনা হচ্ছে শহরের অধিকাংশ দোকান পাটে। একইভাবে খোলা রয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাথে খোলা রয়েছে জরুরি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান। তবে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন।
এদিকে, চলমান লকডাউন ও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সেখানে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার অবাধে চলাচলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তারা তা মানছেন না। সীমান্ত এলাকায় তারা অবাধে যাতায়াত করছেন। এর ফলে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের আশংকা বাড়ছে সীমান্ত এলাকায় বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, লকডাউনের বিধি নিষেধ ভঙ্গ করায় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৬ টি মামলায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রটের নেতৃত্বে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনীর ১০টি পেট্রোল টিম, তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন রয়েছে। তিনি এ সময় জেলার সর্বসাধারণকে সরকারের দেয়া লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলার আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম