সাতক্ষীরা জেলার ছয়টি খেয়াঘাট ইজারার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় দুদক খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ আগামি ১৪ ফেব্র“য়ারি সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এনেক্স ২৭ নং আদালতের বিচারক বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ মহিউদ্দিন শামীম দুদকের দায়েরকৃত ছয়টি খেয়াঘাটের প্রায় ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেনের অন্ত:বর্তীকালিন জামিন শুনানীর সময় এ আদেশ দেন। একইসাথে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খলিলুর রহমান ও নাজমুলকে তাদের আইনজীবীর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী এড. সত্যরঞ্জন মন্ডল।
প্রসঙ্গত, বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল বা ইংরেজি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার ২১টি খেয়াঘাটে এক কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৮ টাকার ইজারা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ইজারাদাররা এক কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা দেন। চেউটিয়া, কালিগঞ্জ বাজার, ঝাঁপালি-মাদারবাড়িয়া, কালিকাপুর নাসিমাবাদ, ঘোলা, হিজলা, কল্যাণপুর ও হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের জন্য বকেয়া থাকে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮২০ টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের কাছে বকেয়া ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার ১২৮ টাকা।
ইজারারা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেন দায়িত্ব পালন করেননি মর্মে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়। সে অনুযায়ি গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক নাজমুল হাসান বাদি হয়ে দ্বন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দূর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের কার্যালয়ে অবু হেনা শাকিল, এড. নুরুল আমিন, জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারি খলিলুর রহমান, নিম্নমান সহকারি নাজমুল হাসানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ মহিউদ্দিন শামীমের আদালত থেকে ১৫ দিনের অন্ত:বর্তীকালিন জামিন পান আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল।