সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৮নং খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল শিটে কারচুপির ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পুনরায় গণনার দাবি উঠেছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের মৃত. আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মোল্ল্যার ছেলে প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার চাচা অহিদুল ইসলাম মোল্ল্যা গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৮নং খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। নির্বাচনে চাচার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে কৌশলে বিজয়ী হওয়ার চক্রান্ত শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ব্যালট পেপার গণনা এবং ফলাফল শীটে কারচুপি করা হয়। ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্রের আনারসের এজেন্টদের আটকিয়ে রেখে প্রিজাইডিং অফিসারগণ আমার চাচার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিমকে বিজয়ী করার জন্য ফলাফল শীটে ভোটের সংখ্যা পরিবর্তন করেছেন। সে সময় আমাদের এজেন্টরা তাদের কাছে জিম্মি থাকায় বিষয়টি তারা আমাদেরকে জানাতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা বিষয়টি আমাদের জানান।
জাকিরুল ইসলাম আরও বলেন, দেখাদৃষ্টিতে ভোটের মাঠে কোন সমস্যা না হলেও প্রিজাইডিং অফিসারদের ম্যানেজ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডালিম অভিনব কারচুপি করেছেন। সে কারণে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউনাইনেটড মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পশ্চিম খাজরা), ৩নং ওয়ার্ডের রাউতাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (রাউতাড়া), ৪নং ওয়ার্ডের পিএনএফ ধনীরাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পারিশামারী), ৬নং ওয়ার্ডের চেউটিয়া দাখিল মাদ্রাসা (চেউটিয়া), ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গদাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (দক্ষিণ গদাইপুর), ৯নং ওয়ার্ডের তুয়ারডাঙ্গা এইচ এফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তুয়ারডাঙ্গা) ভোট কেন্দ্র গুলোর ভোটের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পুনরায় গণনা এবং মুড়ি বই নিরিক্ষণ পূর্বক সঠিক ফলাফল প্রকাশ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
তিনি এ সময় খাজরায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল শীটে কারচুপির ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পুনরায় গণনার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই