খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ

সাতক্ষীরার আম প্রথমবারের মতো যাচ্ছে হংকংয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরার আম যাচ্ছে হংকং এর বাজারে। আম কৃষি ক্যালেন্ডারের পদ্ধতি অনুযায়ী সাতক্ষীরায় প্রথম গাছ থেকে পাড়া গোবিন্দভোগ জাতের আম প্রবেশ করছে হংকংয়ের বাজারে।

গত ৫ মে থেকে সাতক্ষীরায় গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ সহ অন্যান্য কয়েক জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। এর আগে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে। এবার প্রথম যাচ্ছে এশিয়ার একটি ছোট দেশ হংকংয়ে।

আম রপ্তানিতে যুক্ত উত্তরণের সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর, ন্যাংড়ার খ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে প্রবেশ করেছে তাও প্রায় একদশক আগে।

এরমধ্যে বেশী খ্যাতি ছিল ইউরোপের বাজারে। এবার শনিবার (১৫ মে) পরীক্ষামুলকভাবে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম যাচ্ছে এশিয়ান মার্চেন্ট হংকংয়ের বাজারে।

সাতক্ষীরার নিরাপদ আমের বিশ্বস্ততা দেশ বিদেশ সর্বত্র। বাগান থেকে কার্টুন করা পর্যন্ত কোথাও কোন অনিয়ম যাতে না হয় তার জন্য রয়েছে কৃষি বিভাগ, জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গের কড়া নজরদারি থাকে বলে জানান আমচাষী রফিকুল ইসলাম।

আমচাষী আজিজুর রহমান জানান, সরকার কৃষি বিভাগের যে প্রত্যাশা কৃষিকে লাভজনক ও ব্যবসাসফল করা তার প্রায় পুরোটা পুরণ হয়েছে সাতক্ষীরার আমচাষীদের মাধ্যমে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস ও প্রশাসনের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, ক্ষীরশাপাতি, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম ৫ মে থেকে পাড়া শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া ১৬ মে হিমসাগর, ২৪মে ল্যাংড়া ও ১ জুন আম্রপালি আম ভেঙে বাজারে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়।

উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম আর জানান, এবছর সারাদেশ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে যার মধ্যে শুধু সাতক্ষীরা থেকে যাবে একশ মেট্রিক টন আম। ১৯ মে হবে বিদেশ যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। আর এসব রপ্তানি কাজে সাতক্ষীরার অর্ধসহস্র চাষীকে প্রস্তত করেছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে আমচাষী সাতক্ষীরা সদরের আমচাষী কবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ৫০টি সফল আমবাগানের সফল চাষী কিন্তু নির্ধারিত চাষীর মধ্যে তার নাম যুক্ত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি যাতে যুক্ত হতে পারেন তার জন্য কৃষি বিভাগের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, সরকারের আরও সহায়তা পেলে সাতক্ষীরার আমের বিস্তৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে, দেশ অর্জন করবে বৈদেশিক মুদ্রা।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!