সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম শান্তকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন শান্তর চাচা আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরদারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান ও তার সহযোগীদের হামলায় আমার ভাইপো বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদুল ইসলাম শান্ত মারাত্মক আহত হয়েছে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০২২সালে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পৌর ছাত্রলীগ কর্তৃক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মুক্তিযোদ্ধা হলের একটি ভিত্তিহীন কমিটি করা হয়েছিল। এটা নিয়ে আমার ভাইপো সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ও আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম শান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মন্তব্য করে। সেই ঘটনার জের ধরে আমার ভাইপো শান্ত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে আসলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আশিকুর রহমানের উপস্থিতিতে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান নিশান ও তার সহযোগী সানজীর, মইন, শাহিনসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি দুই দফায় তার উপর এই হামলা করে।
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার ভাইপো ফরাদুল ইসলাম শান্ত বর্তমানে বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি এবং আমার পরিবার সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার সেজ ভাই মৃত- মফিজুল ইসলাম বুধহাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিল। আমার পরিবার ২০১৩ সালে জামায়াত শিবিরের হামলার স্বীকার হয়। আমরা ত্যাগী আওয়ামীলীগ পরিবার। গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইপো শান্ত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান কর্তৃক এই হামলার স্বীকার হয়েছে। আমি এই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে