সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় একাধিক সেনসিটিভ ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, এখনো মামলার চার্জশিট হয়নি, পাবলিক ডকুমেন্টস হয়নি। একজন দু’জন মানুষ আছেন যারা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। গোপনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। একজন আছেন রাজসাক্ষী হতে চাচ্ছেন। গোপনীয়তা থাকায় সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
রোববার সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিশির মনির বলেন, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি আমার কাছে এসেছে। মামলার নথিটি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা যায় এটি একটি জটিল মামলা। সেনসিটিভ মানুষ এটার সাথে জড়িত। সেনসিটিভ মানুষের নাম আসামি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে। এখানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামীকাল তাদের সাথে আমার একটি মিটিং রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মামলার ১২ বছর চলে গেছে যার অনেক তথ্য নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু ক্লু পাওয়া যাচ্ছে যার মূলকপি পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে এটি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না, তবে ভালো কিছু হবে এটা প্রত্যাশা।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে সরকার আমাদের মতামত চেয়েছিলেন, আমরা বলেছি এটি বাদ দেয়ার জন্য। কোনো সভ্য সমাজে এমন আইন থাকতে পারে না। মানুষের যদি কথা বলার স্বাধীনতা থাকে না তাহলে মুক্ত সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতা থাকবে না। এ আইন বাদ হওয়া প্রয়োজন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সুনামগঞ্জ জেলা আমির তোফায়েল আহমদ খান, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ