বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাব ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ু সক্রিয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া আধিদপ্তর। এক্ষেত্রে কোথাও কোথাও ঝড়ও বয়ে যেতে পারে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেতও দেখাতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারীবর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। লঘুচাপটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ কিংবা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি আগামী দুই দিনের মধ্যে ভারতের উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘লঘুচাপটি স্থলভাগে উঠে গেলে বৃষ্টি বাড়বে, সেই প্রভাবে আগামী দু-দিন পর বাংলাদেশেও বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।’
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা বলছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম