ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসান। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ার, সময়ের হিসাবে ১৮ বছর। ক্ষুরধার ক্রিকেট-মস্তিষ্ক আর পারফর্ম—দুইয়ে মিলে অনন্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ব্যক্তি সাকিবের আছে দুঃখ, ক্যারিয়ারে লেগেছে কালি। তবুও, সাকিব দিন শেষে বাংলাদেশের ঝলমলে তারা। তবে আন্তর্জাতিক পথচলায় তার সফলতা এলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পথচলা দলের মতোই রঙহীন।
আরেকবার বিশ্বমঞ্চে অংশ নেওয়া সাকিবের যেন এটাই শেষ টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চ। যদিও সাকিব টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানিয়ে দিয়েছেন—এটি হয়তোবা শেষ নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? সাকিব-সাকিব বলে স্লোগান তোলা ভক্তরা কি চান আদৌ সাকিব থাকুক টি-টোয়েন্টির সীমানায়?
সাম্প্রতিক চিত্র দেখলে উত্তরটা সরাসরি দাঁড়ায়—না! ভক্তরাও চার-ছক্কার মঞ্চে মলিন সাকিবকে দেখতে চাননা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল প্রথম যে দুটি ম্যাচ খেলেছে তার জয়-পরাজয়ের ক্ষতিয়ানে যোগ হয়েছে একটি জয়, একটি হার!
কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব কেমন ছিলেন? নাহ, চেনা ছন্দে একেবারেই ছিলেন না দেশসেরা অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে দিয়েছেন ৩০ রান। ব্যাট হাতে করেছেন মোটে ৮। দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে মাত্র ৩ রান করা সাকিব বোলিংয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য।
মাঠে সাকিবের এমন নির্বিষ উপস্থিতিতে বিরক্ত ভক্তরা। তাইতো ম্যাচ শেষে স্লোগান তুলেছেন—এবার অবসর চান তারা। নিউইয়র্কের অনেক দর্শকই বলেছেন, তারা অন্তত টি-টোয়েন্টির মঞ্চে সাকিবকে আর দেখতে চান না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও, সাকিবকে এবার থামার বার্তা ভক্তদের।
শুধু কি তাই? ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বীরেন্দ্র শেবাগ তো বলছেন—লজ্জা পেয়ে সাকিবের নিজেরই অবসর নেওয়া উচিত। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ সাকিবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সাকিব আপনি একজন এতো সিনিয়র খেলোয়াড়, আপনি অধিনায়কও ছিলেন এতদিন, এরপরও আপনার এতো বাজে গেমসেন্স! আপনার নিজেরই তো লজ্জা হওয়া উচিত। অনেক হয়েছে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া উচিত।’
এমন হাজারও ভক্তও একই সুরে তাল মিলিয়েছেন। কিন্তু সাকিব কী ভাবছেন? সত্যিই কি তার থামার সময় এসেছে? নাকি ব্যর্থতা মাথায় করে আরও খেলা চালিয়ে যাবেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার? সময়ের হাতে উত্তর তোলা থাক!
খুলনা গেজেট/এএজে