যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ বলেন, আমরা আর পিছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না। দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। আর যেন হানাহানি মারামারি না হয় সে জন্য সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার (১১ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কর্নেল মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল আশরাফুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দীকী, সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে.কর্নেল আরিফুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আজিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল ইমরান, সহ-সমন্বয়ক খাদিজা খাতুন, আজিজুর রহমান নয়ন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, যারা সহিংসতা করেছে এবং চাঁদাবাজি, দখলবাঁজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না। দ্রুত এসব অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। মানুষের জানমালের নিরপত্তা বিধানে সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য সেনা সদস্য ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। থানাকে মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী যৌথভাবে মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছেন। আমরা আসছি নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। সর্বাবস্থায় সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মতবিনিময় শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাঈদ, আসিফ হাসানসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আইন শৃংঙ্খলা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, শিক্ষার্থী, ইমাম পরিষদ, পূজা উৎযাপন পবিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে