আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শুক্রবার জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর রচনা প্রতিযোগিতা করার কারণটা প্রধানত এই জন্যই যে, আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার যিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যার ঘোষণার প্রেক্ষিতে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সে মানুষটির নাম বর্তমান সরকার ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায়। শুধু মুছে দিতে চায় না, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম একেবারে অলীক, অবাস্তব দোষারোপ চাপিয়ে তাকে খলনায়কে পরিণত করতে চায়।’
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তার জন্ম যদি না হতো, আর তিনি যদি ১৯৭১ সালে আমাদের সামনে এসে উপস্থিত না হতেন, তাহলে এই দেশের স্বাধীনতার কী পরিণতি হতো, এটা আমাদের ঠিক জানা নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই দিন সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ না করে ফখরুল বলেন, ‘যারা দাবি করেন যে, তারা এই দেশের স্বাধীনতার একমাত্র দাবিদার, তারাই এই দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন, তারা কিন্তু সেই দিন ওই মুহূর্তে যে ঘোষণাটির প্রয়োজন ছিল, সে ঘোষণা তারা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল শুধু নয়, তাদের অধিকাংশ লোক সেদিন পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের ফলে হয় ভারত পালিয়ে গিয়েছিল, তা না হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।’
খুলনা গেজেট/এনএম