খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা
চোরাই পথে আসছে ভারতীয় ‘সুপার মিনিগেট’

সরকারি বোরো বীজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১১-১৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমন ফসল কাটার মাঝামাঝি সময় চলছে। জেলার সর্বত্র বোরোর প্রস্তুতি। শুরুতেই খুলনার কৃষক হোঁচট খেয়েছে। গেল দু’বছর করোনার কারণে বোরোর কাঙ্খিত দাম পায়নি। এবার সরকারী বীজের দাম গেলবারের তুলনায় কেজি প্রতি বেড়েছে ১১-১৫ টাকা। যা কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চোরাই পথে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে সুপার মিনিগেট নামের বোরো বীজ আসছে।

খুলনা জেলার ফুলতলা বীজ গুদামে বিআর-২৮, ৫৫, ৬৩, ৬৭, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, বীনা-৮, ৫, ১০, ১৪, বিআর-৩, ১৪, ১৬, ২৬ জাতের বীজ এসেছে। বৃহত্তর খুলনায় ২৮ জাতের চাহিদা বেশী। গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বীজ গুদামে দুই হাজার ৭শ ৭ মে.টন বীজ এসেছে। ইতিমধ্যেই ৪শ ৩০ জন ডিলারের কাছে ১ হাজার ২শ ১১ মে.টন বীজ বিক্রি হয়েছে। এমাসের শেষ দিকে গুদামে আরও ৮শ মে.টন বীজ আসবে।

২০১৯ সালে ২হাজার ২শ ৬৩ মে.টন এবং গত বছর ২ হাজার ৫শ ৬২ মে.টন বীজ বিক্রি হয়। করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রকারভেদে প্রতি কেজি বীজ ১০ টাকা মূল্য কমায়।

গত ২০২০ সালে ২৮, ৫৫ ও ৬৩ জাতের বীজের মূল্য ছিল কেজি প্রতি ৩৯ টাকা। এবছরের মূল্য ৫০ টাকা। ভিত্তি জাতের বীজ ৩৮ টাকার পরিবর্তে ৫৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইব্রিড বীজ প্রতিকেজি ২২৫ টাকার স্থলে এবার ৫ টাকা কমানো হয়েছে।

বিএডিসি (বীজ) খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, বীজতলার শুরুর পূর্বেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ডিলারদের কাছে চাহিদা মতো বীজ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবারে বীজের মূল্য বেড়েছে। কোন অবস্থাতেই বীজের সংকট হবে না। সরকার চাহিদামত বীজ সরবরাহ করবে।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের ডিলার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি বীজ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চোরাই পথে সুপার মিনিগেট নামে ভারতীয় বীজ আসায় ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারী বীজের চেয়ে ভারতীয় বীজের দাম কম। গত বছর সাত মে.টন বীজ বিক্রি করলেও এবার চার মে.টন বীজ উত্তোলন করেছেন। বোরোর উৎপাদন খরচ বাড়ার সম্ভাবনায় কৃষকের আগ্রহ কমেছে।

বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারী গ্রামের চাষী সুকৃতি রায়, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সরোয়ার গাজী ও ডুমুরিয়া উপজেলার কোমরপুর গ্রামের চাষী কোমরুদ্দিন মোড়ল জানান, সব মিলিয়ে এবার উৎপাদন খরচ বাড়বে। গেলবার করোনার কারণে বাকীতে বোরো বিক্রি করতে হয়েছে। এবার আবাদ করেতে হলে ঋণী হতে হবে। ফলে কম জমিতে বোরো আবাদ হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!