মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। সংক্রমণ না কমায় বিধিনিষেধ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। এ সময় সরকারি কয়েকটি অফিসের দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি চলছে।
এবার করোনাকালে বন্ধ থাকা সরকারি অফিসের দাফতরিক কাজগুলো ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার (১১ জুলাই) বিভাগ থেকে সব সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে আরোপিত বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সব জরুরি অফিস ও সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।’
‘এক্ষেত্রে সব সরকারি অফিসের দাফতরিক কাজগুলো ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’- এর সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯ রোগের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তাই সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে সরকারের তরফ থেকে কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলা হলেও পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৭ জুন ৩ দিনের সীমিত বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ বিধিনিষেধ চলে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত।
আর গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। যা ৭ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকার থাকলেও নতুন করে তা ৭ দিন বাড়িয়েছে সরকার।
খুলনা গেজেট/এনএম