খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

সমাবেশের আগের রাতে স্লোগানে মুখরিত গোলাপবাগ মাঠ

গেজেট ডেস্ক 

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। শনিবারের (১০ ডিসেম্বর) সমাবেশ ঘিরে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি এতে অংশ নিচ্ছেন সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীরা। তারা সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে রেখেছেন পুরো এলাকা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোলাপবাগ মাঠে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন মাঠের চারপাশে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের রিকশাযোগে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে। অনেকে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন।

এসময় নেতাকর্মীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘তারেক জিয়ার সমাবেশ সফল করো, করতে হবে’, ‘১০ তারিখের সমাবেশ সফল করো, করতে হবে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

এরইমধ্যে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে একজন নিহতও হয়। সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ এবং ওই এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হটিয়ে দিয়ে নিজেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তারা নয়াপল্টনের পরিবর্তে ঢাকার কমলাপুরে স্টেডিয়ামে সমাবেশের প্রস্তাব দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুরের বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এসবের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ডিবি তাদের আটকের কথা স্বীকার করে। আর দুপুর আড়াইটার পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!