যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিদের উপর ‘কর্তৃপক্ষের’ হামলায় তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে গঠন করা পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি নিয়ে শহরবাসীর মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। একটি কমিটিতে যার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অপর কমিটিতে খোদ তাকেই সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা শর্ষের মধ্যে ভূত বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন কিশোর নিহত হয়। আহত হয় আরো ১৪ জন। এ ঘটনায় কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহ-তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিকুর রহমান, শারীরিক প্রশিক্ষক শাহনূর রহমানসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সামায়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে শুক্রবার দুপুরের পর সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল বসির ও উপপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এসএম মাহমুদুল্লাহ। কমিটির তদন্তের বিষয় হিসেবে পাঁচটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। যার ৫ নম্বরটিতে বলা হয়েছে, ‘উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, যশোর এর কোনরূপ ব্যর্থতা ছিল কি-না তাও যাচাই করতে হবে।’
কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সেই জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু লাইছকে। আর সদস্য করা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারের একজন প্রতিনিধি, যিনি এএসপি পদমর্যাদার নিচে নন। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা বলেন, ‘অধিদপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। তবে আমার বিরুদ্ধে যদি কোন কিছু তদন্তের বিষয় থাকে তাহলে কমিটি সেটা দেখবে। এর বেশি আমি এখন আর কিছু বলতে চাই না।’
খুলনা গেজেট / এমএম