কঠোর লকডাউনে যখন সবাই কঠোরতা মানতে ব্যস্ত। অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে পড়ায় ২২ দিনের জন্ম নেওয়া সন্তানের দুধের জন্য লোকালয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শাহআলম নামে একজন সিএনজি চালক। ঘটনাটি ঘটে যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে।
বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার নিজামপুর বাজারে শাহআলম লোকালয়ে কান্না করতে করতে বলেন, আমি একজন সিএনজি চালক। আমার পরিবারের আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের ডাকা লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালানো নিষেধ হয়। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি।
ফলে ২৩ জুন থেকে আমার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমি সংসারের ব্যয় চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছি। কয়েকদিন এর ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পাচ্ছি না।
তিনি আরও জানান, ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে যার ২ দিন পর পর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমান আমার কাজ না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি, কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। মেম্বর ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজও কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। চাইলে দিবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অনেকবার, কিন্তু ফল পায়নি।
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য আমি তাকে কিছু অর্থ দিয়েছি। পরবর্তীতে তাকে আরো সহযোগিতা করা হবে।
এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজাকে জানালে তিনি ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বর মেসেজ করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমি তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি