খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ, অবশেষে মায়ের কোলে

গে‌জেট ডেস্ক

চাঁদপুরে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে নিজের নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বারোআনি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন তামান্না বেগম (২৮)। ৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী হানির পাড় গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আলমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

তৃতীয় সন্তানের ডেলিভারির সময় হয়ে এলে স্বামী টাকা জোগাড় করতে না পেরে চলে যান। কয়েকদিন বাসায়ও আসেননি। বন্ধ করে রাখেন মোবাইল ফোন। এর মধ্যেই তামান্না বেগমের প্রসববেদনা উঠলে তার মা ও স্বজনরা মিলে ভর্তি করান স্থানীয় পালস এইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রথমে ঋণ করে হাসপাতালে ভর্তি হয় সেখানে। সন্তান প্রসব করলেও মুখ দেখা হয়নি তামান্নার।

হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নিলেও শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় নিজ সন্তানকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন মা। তবে ছেলেকে বিক্রি করলেও অবুঝ মায়ের মন মানছিল না। স্বামীও বাড়িতে ফিরে এসে সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ অবস্থায় সন্তানকে ফিরে পেতে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চান।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মো. শরিফুল হাসান বলেন, নবজাতকের মা ও নানি স্বীকার করেছেন আর্থিক সমস্যার কারণে তারা প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। রাতে ষাটনল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেই।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!