বাগেরহাটের রামপালে ৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষকরা হলেন পেড়িখালী পিইউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। যার শিক্ষক নিবন্ধন ক্রমিক নং ৩১১১০০৪২, ব্যাচ নং-৩ ও সেসন-২০০৭। মল্লিকেরবেড় ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার সহকারি মৌলভী কারিমা খাতুন, যার শিক্ষক নিবন্ধন ক্রমিক নং ১০৭১৬৮৪৯, ব্যাচ নং-৪ ও সেসন-২০০৮। সুন্দরবন মহিলা কলেজের কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রভাষক অসিত বিশ্বাস, যার শিক্ষক নিবন্ধন ক্রমিক নং ৪২৭১৫২২৪, ব্যাচ নং-৬ ও সেসন-২০১০ ও জয়নগর পিপুল বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম বিভাগের সহ-শিক্ষক শাহানারা খাতুন, যার শিক্ষক নিবন্ধন ক্রমিক নং ১০৭১৭২১৮, ব্যাচ নং-৪ ও সেসন-২০০৮।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রামপালে ২৫৫ জন নিবন্ধনধারী শিক্ষকের সনদ যাচাই বাচাই করা হয়। এর মধ্যে ৪ জনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এনটিআরসিএ এর সহকারি পরিচালক ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত শিক্ষক নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত এক পত্রে মল্লিকেরবেড় ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার অধ্যক্ষকে জাল ও ভূয়া সনদধারী কারিমা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মল্লিকেরবেড় ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মতিউর রহমান শেখ রামপাল থানায় কারিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ১১/১০৪ নং একটি মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জাল ও ভূয়া সদনধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সচেতন মহল জাল ও ভূয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ আত্মসাতকৃত টাকা দ্রুত সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম