অপার সম্ভাবনা ছিল তার সামনে। হতে পারতেন সংগীতের বড় কোনো ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সব আশায় যেন নিজেই ভিলেন হয়ে দাঁড়াচ্ছেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন নিজেকে। যার সর্বশেষ সংযোজন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত কনসার্ট।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। জানালেন, নোবেলের এমন কাণ্ডে রীতিমতো হতবাক তিনি। সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল আগে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকী সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে ও। কীভাবে এতটা বদলে গেল ও?’
তার কথায়, ‘ওর যদি কোনো শারীরিক সমস্যা হতো, তাহলে আমি নিশ্চিত, মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করত। কিন্তু এ সমস্যা মানসিক, তাও মদের কারণে। নোবেল তো প্রথম থেকে এরকম ছিল না। আমিই ওকে চিনতে পারছি না।’
নোবেলের জীবনে এখন শুধুই বিতর্কের ঘনঘটা। এই তো দিন কয়েক আগেও ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে আমার, শুধুমাত্র মৃত্যুই এখন বাকি আছে। তোমাকেও স্বাগত প্রিয়। তোমাকেও গ্রহণ করে নেব।’
দিন কয়েক আগে নোবেলের স্ত্রীকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, ‘২০২০ সালে বান্দরবানে ঘটা একটা ঘটনার কারণে আমিই নোবেলকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। ও তখন নেশায় ডুবে থাকত। যদিও পরে ও ভুল বোঝে নেশা করা কমায়। কিন্তু কদিন পরে আবার নেশা শুরু করলে আমি আলাদা থাকা শুরু করি। আমাদের এখনো আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু তাও ও সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে।’
তবে বিচ্ছেদ না ঘটলেও সেটা যে অবশ্যম্ভাবী তা পরিষ্কার সালসাবিলের কথায়। শিগগির নোবেলের সঙ্গে তার অফিসিয়াল ডিভোর্স হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গান গাইতে ওঠেন নোবেল। এরপর তার অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শক। প্রতিবাদে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত নোবেলকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি নোবেল।
খুলনা গেজেট/এনএম