এশিয়া কাপের এবারের আসরে শুরুটা ভালো ছিল না রোহিত শর্মার। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১২ রানের পর দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে ২১! এরপর দ্বিতীয় পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ রান করেছিলেন তিনি।
রান খরায় ভুগতে থাকা বিরাট কোহলি টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে রানে ফেরার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অপেক্ষা ছিল রোহিতের রানে ফেরা। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানে ফিরলেন তিনি।
খেললেন ৪১ বলে ৭২ রানের মারকুটে এক ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে ১২তম ওভারে ওয়ানিন্ডু হাসারাঙ্গার এক ওভারেই নিয়েছেন ১৭ রান। স্লটে বল পেয়ে লং অন দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে শুরু। এরপর এক রান। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে আবারও রোহিতকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। ওভারের পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার। আর শেষ বলের ফুলার লেন্থ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন রোহিত।
অবশ্য পরের ওভারেই রোহিতের এই ঝড় থামিয়েছেন চামিকা করুনারত্নে। চামিকার স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কাভারে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কার হাতে। খানিক বাদে সূর্যকুমার আউট হন ৩৪ রানে। আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া হার্দিক পান্ডিয়া এই ম্যাচে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
১৭ রান করে তিনি ফিরেছেন শানাকার শিকার হয়ে। শেষদিকে দীপক হুদা ৩ রান করে ফিরে গেলে ভারতের রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায়। পান্তও আউট হয়েছেন ১৭ রান করে। দিলশান মাদুশঙ্কার লেগ কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন ডিপ মিড উইকেটে।
ভুবনেশ্বর কুমার রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। শেষদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝড়ো ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভারত ১৭১ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায়।
এদিন ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। তারা দলীয় ১৩ রানের মাথায় দলের উপরের সারির দুই ব্যাটারকে হারায় তারা।ওপেনার লোকেশ রাহুল ৬ রান করে আউট হওয়ার পর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কোহলি আউট হন শূন্য রানে। সেখান থেকেই ভারতকে টেনে তুলেছেন রোহিত ও সূর্যকুমার।