বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, শ্রমিকেরা কাজ করে জীবন বাঁচানোর জন্য। শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিকদের জন্য কাজ না করে আজ বিষফোড়া হয়ে গেছে। আজকে শ্রমিকদের প্রতারিত করা হচ্ছে। এ ধারা বন্ধ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বঙ্গবাসী স্কুলের অডিটরিয়ামে ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এমনকি সরকার-রাষ্ট্র শ্রমিকদের মূল্য দেয় না। যার ফলে শ্রমিকেরা আজকে বঞ্চিত হচ্ছে। শ্রমিকেরা অধিকার হারা হচ্ছে। শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে মালিকদের দালাল শ্রমিকনেতারা। এসব দালালদের চিহ্নিত করতে হবে। আজকে শ্রমিকেরা অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে কাজ করে। কিন্তু তাদের মানবিক মর্যাদা নেই। তাদের বেতন-ভাতা ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকনেতারা ঐক্যবদ্ধ হলে শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘব করা যাবে। মেহনতি শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকার আদায়ে আমরা সদা সজাগ থাকতে হবে।’
ওয়ার্ড সভাপতি মহিববুর রসুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগররী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজী। বক্তব্য রাখেন মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খালিশপুর থানার সভাপতি মু. জাহিদুল ইসলাম, মহানগরী দপ্তর সম্পাদক আল হাফিজ সোহাগ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান উপদেষ্টা গাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল ইসলাম, এমদাদুল হক, শহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, মজিবুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আক্তার বুলু, বাচ্চু, খলিলুর রহমান, তাজ মোহাম্মদ, শামিমুল বাহার, মাসুদ হোসেন ও আলমগীর হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।
শ্রম আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি আমাদের প্রধান দাবি। দালালদের দিয়ে শ্রম আইন করা যাবে না। শ্রম আইন করতে হবে শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের দিয়ে। আজকে গার্মেন্টস ও ওষুধশিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি নজর রাখতে হবে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।’