যথাযথ মর্যাদায় পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতে শনিবার আপসহীন দেশপ্রেমিক ও বীর সেনাপতি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন পালিত হল। এদিন কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলি যৌথভাবে দিনটি ‘দেশপ্রেম’ দিবস হিসাবে পালন করে। তৃণমূল কংগ্রেস দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসাবে ও শাসক বিজেপি ‘পরাক্রম’ দিবস হিসাবে দিনটি পালন করে।
এদিন সব থেকে বড় অনুষ্ঠানটি করে নেতাজী জন্ম উদযাপন কমিটি , ১৭ টি বাম দল ও কংগ্রেস । কলকাতার নেতাজী স্মৃতি বিজড়িত মহাজাতি সদন থেকে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করা হয় নেতাজী জন্মদিন উদযাপন কমিটির উদ্যোগে। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে নেতাজীর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাজী জন্ম উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অমল মুখোপাধ্যায়, কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বরুণ মুখোপাধ্যায়, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই নেতা প্রবীর দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায় ও হাফেজ আলম সাইরানি, আর এসপির মনোজ ভট্টাচার্য, পিডি এসের অনুরাধা পুততুণ্ড, সিপিআই (এম এল) লিবারেশনের কার্তিক পাল, এনসিপির প্রবোধ চন্দ্র সিনহা, আর সিপিআই- এর মিহির বায়েন প্রমুখ । পরে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে একটি সভাও হয়। সভায় বক্তারা বলেন , আজ গোটা ভারতে বহুত্ববাদী সংস্কৃতি বিপন্ন । দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়েছে। জাতীয় সংহতি ঘোর চ্যালেঞ্জের মুখে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু একজন আপসহীন দেশপ্রেমিক । তিনি এক ভেদাভেদহীন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। তার আদর্শকে সামনে এক ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গঠনের দিকে আমাকে অগ্রসর হতে হবে। নেতাজী যখন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম ভারতে সংগঠিত করছেন সেখানে তার আদর্শে যারা সাড়া দেয়নি ও ব্রিটিশদের চরবৃত্তি করেছে তারা পরাক্রম দিবস পালন করে ইতিহাসকে লজ্জা দিচ্ছে ।
এদিকে তৃণমূল – কংগ্রেসের উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয় দেশনায়ক দিবস হিসাবে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রীমো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, মহাজাতি সদনে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় নৃতাজী রবীন্দ্রনাকে আনেন। সেখানে রবীন্দ্রনাথ নেতাজী ‘দেশনায়ক’ আখ্যা দেন। তাই তার জন্মদিনকে অবিলম্বে দেশনায়ক দিবস করার দরকার।
এদিনই কলকাতার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনটি পালন করেন। তিনি বলেন , নেতাজী এক আপসহীন বীর যোদ্ধা । তাই আমরা নেতাজীর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসাবে পান করাকে যথাযথ মনে করি। তবে এদিন পশ্চিমবঙ্গে সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয় করা হয় যথার্থই মর্যাদার সঙ্গে । গান- কবিতাপাঠ- ছবি অঙ্কন- বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেতাজীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই